ব্র্যাক এনজিও লোন ২০২৫ (বিস্তারিত)

ব্র্যাক এনজিও লোন

ব্র্যাক এনজিও থেকে মাইক্রোফাইন্যান্স পদ্ধতিতে ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতিতে কী কী খাতে ঋণ দেয়া হয়, ঋণের আবেদন করতে কি কি লাগে এবং কত টাকা পর্যন্ত ঋণ পাওয়া যায় এসব বিষয় জানতে পারবেন এখানে।

বাংলাদেশের অন্যান্য মাইক্রোফাইন্যান্স এনজিও এর মতো ব্র্যাক থেকেও ক্ষুদ্র ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে। সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ব্র্যাক থেকে সর্বনিম্ন ১৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়।

সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষ প্রয়োজনে যখন ঋণ নিতে যায় এবং অতি ক্ষুদ্র ব্যবসা প্রতিষ্ঠা এবং পরিচালনা করার জন্য যখন অর্থের প্রয়োজন পড়ে, তখন ব্যবসায়ের আকারের কারণে মূলধারার ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়া সম্ভব হয়না। এসব ক্ষেত্রে ব্র্যাক থেকে দিয়ে থাকে ক্ষুদ্র ঋণ। জামানতবিহীন ঋণ নিয়ে ব্যবসা করার পাশাপাশি নিজেদের প্রয়োজন মেটাতে পারবেন অনেকেই।

ব্র্যাক এনজিও থেকে কী কী খাতে লোন দেয়া হয় তা নিয়ে এই পোস্টে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি সম্পর্কে জানতে শেষ অব্দি পড়ুন।

ব্র্যাক কী এনজিও কী?

ব্র্যাক (বাংলাদেশ রুরাল অ্যাডভান্সমেন্ট কমিটি) বিশ্বের অন্যতম বৃহত্তম বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা। ১৯৭২ সালে বাংলাদেশে এর যাত্রা শুরু হয়। দীর্ঘকাল ধরে সংস্থাটি দারিদ্র্য ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে লড়াই করে আসছে। বিশেষ করে সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ব্র্যাকের এই প্রচেষ্টা বিশ্বজুড়ে ব্যাপক স্বীকৃতি লাভ করেছে।

ক্ষুদ্রঋণ কার্যক্রম ব্র্যাকের একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ। ১৯৭৪ সালে ব্র্যাক এই প্রকল্পটি শুরু করে, যা তাদের পুরনো কার্যক্রমের মধ্যে একটি। এই কার্যক্রমের প্রধান লক্ষ্য হলো গ্রামীণ দরিদ্র ও ভূমিহীন নারীদের সহজ শর্তে ঋণ প্রদান করা। এর মাধ্যমে তারা আয় বৃদ্ধি করতে এবং তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে ঋণ নিয়ে থাকেন।

ব্র্যাক এনজিও বিভিন্ন ধরনের খাতে ঋণ প্রদান করে থাকে। এর মধ্যে ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণ, নারী ঋণ, কৃষি ঋণ এবং প্রবাসী পরিবার ঋণ উল্লেখযোগ্য। ব্র্যাক এনজিও বিভিন্ন প্রকার ঋণ প্রদান করে থাকে এবং এই ঋণগুলোর জন্য আবেদনের প্রক্রিয়াও ভিন্ন ভিন্ন। কিছু ঋণের ক্ষেত্রে দলবদ্ধভাবে আবেদন করার সুযোগ রয়েছে। আবার কিছু ঋণ ব্যক্তিগতভাবেও নেওয়া যেতে পারে।

ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি

ব্র্যাক এনজিও থেকে বিভিন্ন খাতের উপর লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিটি খাতে লোনের সর্বনিম্ন পরিমাণ এবং সর্বোচ্চ পরিমাণ ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া, লোনের আবেদন করার পদ্ধতিও ভিন্ন হয়ে থাকে।

ব্র্যাক এনজিও থেকে কোন কোন খাতের উপর লোন প্রদান করা হয় তা নিম্নে একটি তালিকায় দেখানো হয়েছে।

  • ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণ
  • নারী ঋণ
  • প্রবাসী পরিবার ঋণ
  • কৃষি ঋণ
  • চাকরিজীবী ঋণ
  • সেফ সেভ (ঢাকা শহরের বস্তিবাসীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সেবা)
  • মৌসুমী ঋণ
  • স্যানিটেশন ঋণ
  • আরএমজি শ্রমিকদের জন্য আর্থিক সেবা

উপরোক্ত তালিকায় যেসব ঋণ খাতের নাম দেখছেন, এগুলোর উপর ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। প্রতিটি খাতে ঋণের পরিমাণ এবং এসব ঋণ কাদের জন্য তা ভিন্ন হয়ে থাকে। এছাড়া, ঋণের পরিমাণের পাশাপাশি ঋণ পরিশোধের মেয়াদও ভিন্ন হয়ে থাকে।

আরও পড়ুন>>> বুরো বাংলাদেশ এনজিও লোন পদ্ধতি ২০২৫ (আপডেট)

ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতিগুলো নিয়ে নিম্নে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। চলুন, জেনে নেয়া যাক।

ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণ

ব্র্যাক ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণের মাধ্যমে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসার জন্য আর্থিক সহায়তা প্রদান করে থাকে। এটি সেই সকল ব্যবসায়ীদের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সুযোগ যারা প্রচলিত ব্যাংক থেকে সহজে ঋণ নিতে পারেন না। জামানত/বিভিন্ন কাগজপত্রের কারণে যারা ঋণ নিতে পারেন না, তারা এই খাতে লোন নিতে পারবেন। এই ঋণ নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি এবং স্থানীয় অর্থনীতিকে সচল রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে।

ক্ষুদ্র উদ্যোগ ঋণের ক্ষেত্রে একজন ব্যক্তি ১,১০,০০০ টাকা থেকে শুরু করে ১০,০০,০০০ টাকা পর্যন্ত ঋণের আবেদন করতে পারবেন। এছাড়া, এসব ঋণের ক্ষেত্রে সাধারণত জামানতের প্রয়োজন হয়না। অপরদিকে শুধু ক্ষুদ্রঋণের ক্ষেত্রে ১৩ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করে ব্র্যাক এনজিও।

নারী ঋণ

নারী ঋণ ব্র্যাকের একটি বিশেষ কার্যক্রম, যেখানে নারী উদ্যোক্তাদের জামানতবিহীন ক্ষুদ্রঋণ প্রদান করা হয়। গ্রাম সংগঠনের মাধ্যমে নারীদের অর্থনৈতিক ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করাই এই ঋণের প্রধান লক্ষ্য। এই ঋণের মাধ্যমে নারীরা তাদের আয় বৃদ্ধি এবং জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সক্ষম হন। ঋণ গ্রহণ করার পর আয় করতে পারবেন এমন খাতে তারা ঋণের অর্থ বিনিয়োগ করতে পারেন।

গবেষণায় দেখা গেছে, পুরুষের তুলনায় নারীদের ঋণ পরিশোধের প্রবণতা বেশি। এই কারণে ব্র্যাক বিশেষভাবে নারী ঋণ প্রদানকে উৎসাহিত করে থাকে। নারীদের এই ঋণের সঠিক ব্যবহার এবং সময়মতো পরিশোধ ব্র্যাকের ঋণ কার্যক্রমের স্থায়িত্বের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই খাতে ১৩ হাজার টাকা থেকে ২ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ প্রদান করা হয়ে থাকে।

প্রবাসী পরিবার ঋণ

প্রবাসী পরিবার ঋণ বিদেশগামী শ্রমিকদের কর্মসংস্থান এবং তাদের পরিবারের আর্থিক স্থিতিশীলতা রক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। প্রবাসে কর্মরত শ্রমিকদের পাঠানো অর্থের জন্য অপেক্ষা না করে তাদের পরিবারের সদস্যরা এই ঋণের মাধ্যমে বড় ধরনের খরচ মেটাতে পারে।

বিদেশ যাওয়ার খরচ অনেক সময় দরিদ্র পরিবারের জন্য একটি বড় বাধা হয়ে দাঁড়ায়, এবং এই ঋণ সেই বাধা দূর করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। অর্থাৎ, বিদেশ যাওয়ার জন্য অর্থের অভাব হলে ব্র্যাক এনজিওতে প্রবাসী পরিবার ঋণ খাতে আবেদন করার মাধ্যমে ঋণ গ্রহণ করা যাবে। এছাড়া, প্রবাসে থাকাকালীন প্রবাসীর পরিবার থেকেও ঋণের আবেদন করতে পারবে।

কৃষি ঋণ

ব্র্যাক কৃষি ঋণের মাধ্যমে কৃষি শ্রমিকদের চাষাবাদে বিনিয়োগ এবং উৎপাদন বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে। ভূমিহীন বর্গাচাষী এবং জমির মালিক উভয়েই এই ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। গবাদি পশু পালন এবং আধুনিক কৃষি পদ্ধতির জন্য এই ঋণের আবেদন করা যাবে।

ব্র্যাকের কৃষি ঋণ কৃষকদের শুধুমাত্র আর্থিক সাহায্যই করে না, বরং তাদের কৃষি বিষয়ক জ্ঞান ও দক্ষতা বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। কৃষি বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল ভিত্তি, এবং কৃষকদের আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে ব্র্যাক দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখে।

কৃষি কাজের জন্য আর্থিক সহায়তা প্রয়োজন হলে যেকোনো কৃষক চাইলেই ব্র্যাক এনজিওতে ব্র্যাক কৃষির ঋণের জন্য আবেদন করতে পারবে এবং ঋণ গ্রহণ করতে পারবে। এই খাতে সর্বনিম্ন ১৫ হাজার টাকা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ঋণ নেয়া যাবে।

চাকরিজীবী ঋণ

চাকরিজীবী ঋণ স্বল্প ও মাঝারি আয়ের চাকরিজীবীদের আর্থিক চাহিদা পূরণে সাহায্য করে। যারা প্রচলিত ব্যাংকগুলো থেকে থেকে সহজে ঋণ নিতে পারেন না, তাদের জন্য এটি একটি সুযোগ। উল্লেখ্য, ব্র্যাক ব্যাংকও চাকরিজীবীদের জন্য পার্সোনাল লোন সুবিধা প্রদান করে থাকে।

তবে, মূলধারার ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতে বেশ কিছু কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। এছাড়া, লোনের পরিমাণ বেশি হলে অনেক সময় জামানত প্রয়োজন হয়। আবার ইন্টারেস্ট রেটও অনেক সময় বেশি থাকে। তাই, অল্প বা মাঝারি আয়ের চাকরিজীবীরা চাইলে ব্র্যাক এনজিও চাকরিজীবী ঋণের জন্য আবেদন করতে পারেন।

সেফ সেভ (Safe Save)

Safe Save হলো ঢাকা শহরের বস্তিবাসীদের জন্য ব্র্যাকের বিশেষভাবে তৈরি করা একটি লোন পদ্ধতি। এই সেবার আওতায় বস্তিবাসীরা প্রতিদিন তাদের সঞ্চয় এবং ঋণের কিস্তি জমা দিতে পারে।

বস্তিবাসী জনগোষ্ঠী সাধারণত মূলধারার ব্যাংক থেকে লোনের আবেদন করা থেকে বঞ্চিত থাকে। এক্ষেত্রে তাদের যদি লোনের প্রয়োজন হয়, তাহলে ব্র্যাক এনজিও থেকে Safe Save পদ্ধতিতে একটি নিরাপদ ও সহজলভ্য সঞ্চয় ও ঋণ সুবিধা নিতে পারবে।

মৌসুমী ঋণ

মৌসুমী ঋণ কৃষকদের পশু পালন এবং বিশেষ মৌসুমী চাষাবাদের জন্য প্রদান করা হয়। এই ঋণ কৃষকদের মৌসুমভিত্তিক আর্থিক চাহিদা মেটাতে সহায়ক ভূমিকা পালন করে থাকে। এর মাধ্যমে কৃষকরা তাদের উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি করতে সক্ষম হয়।

মৌসুমী ঋণ কৃষকদের আর্থিক চাপ কমাতে এবং নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সরবরাহ করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কৃষিকাজ যেহেতু একটি মৌসুম-নির্ভর পেশা, তাই এই ঋণ কৃষকদের বিভিন্ন ফসলের জন্য প্রয়োজনীয় বিনিয়োগ করতে সাহায্য করে। প্রয়োজনের সময় কৃষকরা এই পদ্ধতিতে লোন নিয়ে কৃষি কাজে বিনিয়োগ করতে পারে।

স্যানিটেশন ঋণ

স্যানিটেশন ঋণ পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগার তৈরির জন্য প্রদান করা হয়। এটি জনস্বাস্থ্যের উন্নতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ব্র্যাকের ওয়াশ (ওয়াটার, স্যানিটেশন অ্যান্ড হাইজিন) কর্মসূচির অংশ হিসেবে এই ঋণ প্রদান করা হয়।

স্যানিটেশন ঋণ শুধুমাত্র ব্যক্তিগত স্বাস্থ্য সুরক্ষাই নয়, বরং সামগ্রিক জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নেও একটি অপরিহার্য বিষয়। স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখার জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থা অত্যন্ত জরুরি। এই ঋণ গ্রহণ করার মাধ্যমে পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যকর শৌচাগার তৈরি করতে পারবে যে কেউ।

আরএমজি শ্রমিকদের জন্য আর্থিক সেবা

ব্র্যাক তৈরি পোশাক শিল্পের (আরএমজি) কর্মীদের জন্য বিশেষ আর্থিক সেবা প্রদান করে। ‘আপন বাজার’-এর সাথে যৌথ উদ্যোগে ব্র্যাক এই শ্রমিকদের জন্য ডিজিটাল লোনের সুবিধা চালু করেছে। এই উদ্যোগের মূল লক্ষ্য হলো সহজ শর্তে এবং দ্রুত ঋণ বিতরণের মাধ্যমে শ্রমিকদের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা।

আরএমজি শ্রমিকদের ঋণ সেবা প্রদানের মাধ্যমে ব্র্যাক এনজিও দেশের একটি বৃহৎ শ্রমজীবী গোষ্ঠীর আর্থিক সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে। তৈরি পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির একটি প্রধান স্তম্ভ। তাই, এই শিল্পের শ্রমিকদের আর্থিক সহায়তা প্রদান করার মাধ্যমে তাদের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা পালন করে আসছে ব্র্যাক এনজিও। এই খাতে সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত লোন প্রদান করা হয়ে থাকে।

সমাজের দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের অর্থের প্রয়োজন হলে অধিক কাগজপত্রের ঝামেলা এবং জামানত ছাড়াই ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন সুবিধা নিতে পারবেন। ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতিগুলো নিয়ে ইতোমধ্যে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যারা ঋণ পেতে আগ্রহী, তার ব্র্যাক এনজিও এর স্থানীয় ব্রাঞ্চ থেকে ঋণ আবেদন করতে পারবেন।

ব্র্যাক এনজিও লোন সুদের হার

ব্র্যাক এনজিও লোন সুদের হার নির্ভর করে তাকে লোনের ধরনের উপর। এছাড়া, কত টাকা লোন নেয়া হবে তার উপর ভিত্তি করেও লোনের সুদের হার কমবেশি হয়ে থাকে। ব্র্যাক এনজিও থেকে বিভিন্ন খাতের উপর লোন প্রদান করা হয়ে থাকে। তবে, ব্র্যাক এনজিও এর লোনের উপরে সুদের হার সাধারণত ২২% থেকে ২৬% অব্দি হয়ে থাকে।

এসব খাতের কোন খাতে কত শতাংশ সুদ নেয়া হয় তা জানতে তাদের স্থানীয় ব্রাঞ্চে যোগাযোগ করুন। অথবা, ব্র্যাক এনজিও এর মাঠ কর্মীর সাথে যোগাযোগ করুন। আপনি কত টাকা ঋণ নিতে চান তার উপর নির্ভর করে তারা আপনাকে সুদের হার সম্পর্কে জানাতে পারবে।

ব্র্যাক এনজিও লোন আবেদন করার নিয়ম

ব্র্যাক এনজিও থেকে আপনি কোন খাতের উপর লোন নিতে চান তা নির্ধারণ করুন। এরপর, উক্ত এনজিও এর আপনার এলাকায় যে মাঠ কর্মী দায়িত্বে আছেন, তার সাথে যোগাযোগ করুন। মাঠ কর্মীর সাথে যোগাযোগ করে লোন আবেদন ফরম পূরণ করার মাধ্যমে ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন আবেদন করতে পারবেন।

এরপর, আপনার দেয়া তথ্য এবং কাগজপত্র বিবেচনা করে তারা আপনার লোনের আবেদনটি অনুমোদন করবে। অনুমোদন করলে আপনি তাদের থেকে লোনের টাকা সংগ্রহ করতে পারবেন। এরপর, লোনের পরিমাণ এবং ধরনের উপর ভিত্তি করে সাপ্তাহিক বা মাসিক পদ্ধতিতে লোনের টাকা কিস্তিতে পরিশোধ করতে পারবেন।

শেষ কথা

ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতি নিয়ে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে। যারা ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিতে ইচ্ছুক, তারা পোস্টে উল্লিখিত তথ্য থেকে আপনার জন্য কোন লোন প্রয়োজন তা জানতে পারবেন। এছাড়া, লোনের সুদের হার এবং আবেদনের পদ্ধতিও শেয়ার করা হয়েছে এখানে।

বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর

ব্র্যাক এনজিও লোনের সুদের হার কত?

ব্র্যাক এনজিও লোনের সুদের হার সাধারণত ২২% থেকে ২৬% পর্যন্ত হয়ে থাকে। তবে, লোনের পরিমাণ এবং ধরনের উপর নির্ভর করে সুদের হার কমবেশি হতে পারে।

ব্র্যাক এনজিও থেকে কত টাকা লোন নেয়া যায়?

ব্র্যাক এনজিও লোন পদ্ধতিতে ১৩ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন নেয়ার জন্য আবেদন করা যায়।

ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিতে জামানত প্রয়োজন হয়?

না। ব্র্যাক এনজিও থেকে লোন নিতে জামানত প্রয়োজন হয়না।

এনজিও থেকে লোন নিতে কি কি লাগে?

এনজিও থেকে লোন নিতে ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি, পাসপোর্ট সাইজের ছবি এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লাগে।

About Masum Siddique

আমি একজন ফিনান্স কনটেন্ট স্ট্র্যাটেজিস্ট এবং ডিজিটাল গবেষক, যার ৭ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে বাংলাদেশের ব্যাংকিং এবং ঋণ ব্যবস্থাপনা বিষয়ক কনটেন্ট ডেভেলপমেন্টে। আমার লক্ষ্য হলো বাংলাদেশি জনগণকে সঠিক এবং আপডেটেড লোন বিষয়ক তথ্য দিয়ে সহায়তা করা যাতে তারা তাদের প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক আর্থিক সিদ্ধান্ত নিতে পারে।

View all posts by Masum Siddique →

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *